শোনা যায় প্রত্যেকটি পাহাড়ের কোলেই নাকি কোনো না কোনো গুপ্ত রহস্য লুকিয়ে থাকে, যা বহু মানুষ এর জীবনকে ঘিরে। আর তা প্রকাশ্যে আসা মানেই বহু পুরানো অজানা কাহিনীর নতুন করে প্রকাশ পাওয়া। আর এই ঘন বর্ষা কালে এমনই রহস্যমোড়া কাহিনী নিয়ে দর্শক এর কাছে হাজির হয়েছেন অঞ্জন দত্ত। দার্জিলিং এর বুকে ঘটে যাওয়া বহু মৃত্যুকে ঘিরেই তৈরী হয়েছে অনেক রহস্য যা সকল মানুষের চোখের আড়ালে। আর তারই উদ্ঘাটন করতে ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছেন সাংবাদিক অমিতাভ ব্যানার্জী। দার্জিলিং এ ঘটে যাওয়া ৩০ বছর আগের এক কাহিনীকে ঘিরেই সিনেমার বিষয়বস্তু। সম্প্রতি হইচই অরিজিনালস এ মুক্তি পেয়েছে অঞ্জন দত্ত পরিচালিত “Murder InThe Hills”. গল্পের শুরুই হয় একটি হুমকি ভরা লেখা দিয়ে, ” You will be punished for your crime”.
এই সিনেমাতে রয়েছে অনেকগুলি চরিত্র, আর সেই প্রত্যেকটি চরিত্রই সন্দেহ করার জন্যে যথেষ্ট। মোট ৮টি পর্ব নিয়ে তৈরী এই ওয়েব সিরিজটি। প্রত্যেকটি অধ্যায়েই খুলেছে একটা করে রহস্যের জাল, আর সাথেই বুনেছে নতুন রহস্য। প্রতি মুহূর্তে প্রত্যেকটি চরিত্রের উপর যেন প্রশ্ন উঠেছে। কে বন্ধু আর কে শত্রু তা বোঝাই যেন বড় দায় করে তুলেছিলেন পরিচালক। সিনেমার মুখ্য চরিত্র গুলি হলেন টনি রায়, নিমা প্রধান, শীলা, বব দাস, বিজয় মুখার্জী, শুভঙ্কর ব্যানার্জী, রঞ্জন গাঙ্গুলি এবং অমিতাভ ব্যানার্জি। এই সিনেমায় টনি রায় হলেন বাংলা সিনেমার এক বড় সুপারস্টার আর কেবল বাংলাই না বলিউড এবং হলিউড ও ছিল তাঁর নাম। আর তাঁরই মৃত্যুকে ঘিরে গোটা সিনেমা।
মৃত্যুর সময় টনির সাথে ছিলেন তাঁর সকল বন্ধুরা এবং সেখানে ছিলেন সাংবাদিক অমিতাভ ব্যানার্জী। সকলেই মৃত্যুকে স্বাভাবিক বললেও অমিতভ তা খুন বলে মনে করেন আর সেখান থেকেই শুরু সকল রহস্যের সূত্রপাত। যা প্রতি মুহূর্তে গাঢ় হতে থাকে। সন্দেহের বেড়াজাল ও ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে। খুনি একজন না বহুজন সেই প্রশ্ন উঠে আসে বারেবারে।
তবে কেবল মৃত্যু রহস্যই না, তুলে ধরা হয়েছে দার্জিলিং এর অনেক সমস্যা, অনেক জীবন কাহিনী, ট্যুরিস্ট দেরকেও। সিনেমার সিনেমাটোগ্রাফিও দারুন বলতেই হয়, প্রত্যেকটি খুঁটিনাটি বিষয়কে দেখানো হয়েছে এখানে। সকল সম্পর্কের যোগাযোগ ও তাদের ব্যাখ্যাও যথার্থ। তাই আর অপেক্ষা কিসের, টনি রায়ের খুন কে বা কারা করল আর কেন করল তা জানতে দেখুন হইচই অরিজিনালস এর মার্ডার ইন দ্য হিলস।