রাধিকা আপ্টে ১৯৮৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর তামিলনাড়ুর ভেলোরেতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা-মা দু’জনেই ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন। রাধিকা অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে। বাবা-মা দু’জনেই পুণের নাম করা চিকিৎসক।
রাধিকা নিজেও ভীষণ মেধাবী ছিলেন। পুণের ফার্গুসন কলেজ থেকে অর্থনীতি এবং অঙ্ক নিয়ে স্নাতন হন তিনি।
পুণেতেই তাঁর বেড়ে ওঠা। অভিনয়-এর পাশাপাশি পড়াশোনা এবং নাচেও তিনি সমান পারদর্শী। আট বছর ধরে রোহিণী ভাটের কাছে তিনি কত্থক শিখেছেন।

২০১১ সালে লন্ডনেই তাঁর স্বামী মিউজিসিয়ান বেনেডিক্ট ট্রেলরের সঙ্গে পরিচয়। বেনেডিক্টের সঙ্গে ডিসট্যান্ট রিলেশনশিপে রয়েছেন রাধিকা। ২০১৩ সালে বিয়ে করেন তাঁরা।
অত্যন্ত পরিশ্রমী রাধিকার লক্ষ্য কিন্তু ছিল উঁচু তারে বাঁধা। আর তাই থিয়েটারের পাশাপাশি ফিল্মে কাজের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ২০০৯ সালে প্রথম ‘ঘো মালা আসলা হাভা’ নামে একটি মরাঠি কমেডি ফিল্মে সুযোগ পান। তারপর ‘শোর ইন দ্য সিটি’, ‘রক্তচরিত্র’, ‘আই অ্যাম’-এ অভিনয় করেন তিনি।
অন্তহীন , মাঝি , তাছাড়া তিনি সুজয় ঘোষ এর একটি ছোট ডকুমেন্টারী অহল্যা তে অভিনয় করেন।
তার অভিনয়ের জন্য ব্যাপকভাবে স্বীকৃত হতে 10 বছর সময় নিয়েছিল। তিনি স্কুপহুপকে বলেছিলেন, “অদ্ভুত বাড়ির মালিক এবং রুমমেট” এর সাথে বসবাসকারী এবং অভিনেতা হিসাবে কাজ খোঁজার জন্য কলেজের পরে সরাসরি মুম্বাই চলে আসেন। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সাথে সম্পর্ক না থাকায়, তিনি একটি ছোট থিয়েটার কোম্পানিতে কাজ করেন এবং চলচ্চিত্রের জন্য অডিশন দেন। বলিউড এবং প্রেক্ষাগৃহে ক্ষুদ্র ভূমিকা, যেমন বাংলা চলচ্চিত্র অন্তাহীন… যাইহোক, তিনি কিছুদিন পরে পুনেতে ফিরে যান, তার জীবনের সেই সময়টিকে “শেখার তবুও হতাশাজনক অভিজ্ঞতা” হিসাবে স্মরণ করেন।

‘বদলাপুর’ এর চরিত্রের মধ্য দিয়ে তিনি জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছান, এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। রাত আকেলি হে, প্যাডম্যান, অন্ধাধুন, লাস্ট স্টোরিজ, বাজার, দ্য ওয়েডিং গেস্ট এই সব সিনেমায় বিভিন্ন রকমের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন ছুয়ে যায়। টিবিএইচ বাংলা তার কাজকে কুর্ণিশ জানায়