ধরে নেওয়া যাক সময়টা ২০৫০ সাল। পৃথিবীটা আরো সুন্দর হয়ে উঠেছে গাছের আরো তরতাজা সতেজ এবং আরো সবুজ হয়ে উঠেছে পাখিরা ডাকছে এবং রাস্তার পশুরা খেলা করছে সেখানে দূর-দূরান্তে মানুষের কোন অস্তিত্ব নেই ।আজ ভূমিকণ্যা জেগে উঠেছে। সে মানুষকে খুঁজছে কিন্তু দূর-দূরান্তে কাউকে খুঁজে পাচ্ছে না। সে অস্থির হয়ে উঠে চারি দিকে দৌড়ে মানুষ খোঁজার চেষ্টায় মরিয়া। কিন্তু একজন মানুষের ও অস্তিত্ব নেই কোথাও।

তার নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল। হঠাৎ করে চোখ পড়লো দূর থেকে কে যেন আসছে তার দিকে, সামনে থেকে এগিয়ে আসছে ক্রমশ। সেও তার দিকে দৌড় দিল শেষমেষ একজন মানুষ তো পাওয়া গেল কিন্তু বাকিরা সব কোথায়? সেই ছেলেটি যার সাথে ভূমি কণ্যার এইমাত্র দেখা হলো। সে বলল এই পৃথিবীতে সকল হিন্দু মুসলমান, চাকর, শ্রমিক সকলেই এবং তাদের সম্প্রদায় ধীরে ধীরে বিলুপ্ত ক্রমশ হ্রাস পেতে পেতে শেষমেষ একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যায়। ভূমিকণ্যা চাইলে তাদের বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে পারত কিন্তু তিনি সেটা করেননি। ভূমিকণ্যাই বরং এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। প্রশ্ন হচ্ছে তবে কারা এই পৃথিবীতে শাসন করবে।

কেউ তো আসছে তাদের হাটার আওয়াজ স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে দূর থেকে তবে সেটা মানুষের নয় তারা হচ্ছে নির্বোধ নির্বাক কিছু পশু পাখি যারা এই সুন্দর পৃথিবীতে শাসন করবে। পরিচালক সুজয় ভৌমিক এর নেপালি ছবি ‘ দ্যা আর্থ টোয়েন্টি ফিফটি’খুব শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছে। অতি মারির কারণে এই ছবিটির মুক্তি আটকে রয়েছে।
এই ছবির কনসেপ্ট খুবই আধুনিক এবং সময় উপযোগী। এই ছবির চিত্রনাট্য খুবই মৌলিক। এই ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক সুজয় ভৌমিক নিজেই।

এই নেপালি ছবিটিতে ‘মানুষের অবয়ব’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সফল গুরুং এবং ‘ভূমিকন্যা’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুশিকা থাপা। মায়াদেব প্রডাকশন এর অন্যতম কর্ণধার কুশল গিমিরে প্রযোজিত এই ছবি।
এই ছবিটির শুটিং তিস্তা নদীর ধারে, দার্জিলিং, মংপু, সিটং, সোনাডা এবং সিকসিন এ হয়েছে।
এই ছবিটির সংগীত পরিচালনা ও আবহসংগীত এর দায়িত্ব সামলেছেন ময়ূখ ভট্টাচার্য্য এবং রাজশ্রী চক্রবর্তী।
ছবিটির সম্পাদনার কাজ করেছেন অর্ঘ্য ব্যানার্জী।

এই নেপালি ছবিটির সিনেমাটোগ্রাফি অর্থাৎ ক্যামেরা দায়িত্ব সামলেছেন প্রয়েশ রামু দামু।
পরিচালকের এই ধরনের সময়োপযোগী এবং বাস্তবধর্মী ছবি নির্মাণ করার জন্য তাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। এই ধরনের ছবি এইসময় হওয়া খুবই প্রাসঙ্গিক। যেভাবে বিশ্বব্যাপী উষ্ণায়ন দূষণ লাগামছাড়া ভাবে বেড়ে চলেছে এবং প্রকৃতি বিপন্ন হচ্ছে, আমাদের প্রকৃতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সেক্ষেত্রে এই ছবি দর্শকদের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব পরিবেশের প্রতি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। দূষণ গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্বব্যাপী উষ্ণায়ন কমাতে এই ছবি বিশেষ ইঙ্গিতবাহী হবে বলে আমাদের ধারণা। এই ছবিটির মধ্য দিয়ে পরিচালক প্রকৃতির প্রতি মানুষের সচেতনতা আরো বাড়ানোর বার্তা দিয়েছেন।