অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে বরাবরই আমরা দক্ষ অভিনেতা হিসাবেই দেখে এসেছি পর্দায়। কিন্তু তাঁর কল্পনা বা তাঁর পরিচালনায় তৈরি ছবিও যে মানুষকে তাক লাগিয়ে দিতে পারে ,এমনটা প্রথম দেখা গেছে”মন্দার” বাংলা ওয়েব ধারাবাহিকের মাধ্যমে। থিয়েটার জগতে জন্ম এই নক্ষত্রের । তাই ছবি,অভিনয় এবং চিত্রনাট্যের ওপর যে তাঁর দারুণ দখল থাকবে এমনটাই বার বার প্রকাশ পেয়েছে তাঁর কাজে। “মন্দার” মুক্তি পাওয়ার পর সাধারণ মানুষের তাঁর পরিচালিনার প্রতি আরো অনেক প্রত্যাশা বেড়ে গেছে।নিজেকে মূলত অভিনেতা হিসাবেই দেখতে চান অনির্বাণ, তাই বছরে একটাই পরিচালনার কাজ করতে চান তিনি । সেজন্য আবারো বছরের শুরুতেই একটা দারুণ সুখবর নিয়ে এলো অনির্বাণ ভট্টাচার্য , তাঁর পরিচালিত আসন্ন ছবির পোষ্টার রিলিজ করে।
পোষ্টারে দেখা যাচ্ছে, একটি পুরানো রাজবাড়ী এবং তার চারপাশের থমথমে রহস্যজনক পরিবেশ। কারণটা অবশ্যই স্পষ্ট। “বল্লভপুরের রূপকথা”-য় দেখা যাবে ভগ্নপ্রায় বল্লভপুরের রাজবাড়ীর গল্প। যেহেতু থিয়েটার জগতে উত্থান তাঁর , তাই থিয়েটারের নাটকের স্বাদ যে তাঁর কাজে আমরা পাবো সেটাই বার বার নজরে পড়েছে। থিয়েটার জগতের রূপকথা, বিখ্যাত বাদল সরকারের জনপ্রিয় নাটক “বল্লভপুরের রূপকথা”কে এবার বড়ো পর্দায় বাস্তবায়িত করবেন অনির্বাণ।
ছোটবেলা থেকেই অনির্বাণ হরার কমেডি বা স্যাটার খুবই পছন্দ করেন , আর এমন কাজ খুব কমই হয় এখন বাংলাতে, মনে করেন তিনি। সম্ভবত এই কারণেই তাঁর এই অভিনব সিদ্ধান্ত।এস.ভি.এফ প্রযোজিত এই ছবির চিত্রনাট্য লিখনে অনির্বাণের সঙ্গী তাঁর বন্ধু প্রতীক দত্ত। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র বল্লভপুরের রাজবংশের শেষ উত্তরসূরী ভূপাতি রায় ও তাঁর ভৃত্য মনোহরকে নিয়েই এই গল্পের চিত্রনাট্য । দারুণ আর্থিক সমস্যার মধ্যে পড়ে ,দেনার দায় চেপে যায় তাঁদের ওপর। তাই এই রাজপাট আর সামলাতে না পেরে বাধ্য হয়ে বাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। কিন্তু সহজে তো মোটেই সে বাড়ি বিক্রি হবার নয়। এই খানেই দেখা দেয় ভূতের উপদ্রব। তারপর ছবির গল্প কোনদিকে মোড় নেবে,সেটাই দেখার ।
ছবির সঙ্গীতে থাকবেন শুভদীপ গুহ এবং দেবরাজ ভট্টাচার্য। ক্যামেরায় থাকবেন সৌমিক হালদার। ছবির কাস্টিং এখনো সম্পন্ন হয়নি , তাই সেই কাজও শীঘ্রই সেরে ফেলতে চান অনির্বাণ। তাহলে দেখা যাক অনির্বাণের তৈরি এই আসন্ন মাস্টারপিসটিতে কোন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনয়ে দেখতে পাবো আমরা।