ডায়েট মানেই কম খাওয়া নয়। হ্যা আধুনিক মেডিকেল সাইন্স তাই বলছে। নিউ ইয়র্কের বিশিষ্ট ডায়েটিশিয়ান একটি জনৈক বাংলা পত্রিকায় সম্প্রতি জানিয়েছেন কম খেয়ে বা না খেয়ে ডায়েট করা কিন্তু সঠিক বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতি নয়। ব্যালান্সড ফুড – ই হলো সুস্বাস্থের চাবিকাঠি তাই আর দেরি না করে আজ ই শুরু করুন ব্যালান্সড ডায়েট প্ল্যান। কম খেয়ে বা না খেয়ে থেকে শুধুই রোগ যন্ত্রনা বাড়ে মেদ কিন্তু ঝরে না সহজে বা যদিও মেদ ঝরে তো দেখা দায়ে অন্যান্ন শারীরিক সমস্যা – কোথায় পাবেন সঠিক খদ্দের তালিকা ? আমরা দিচ্ছি মন দিয়ে পড়ুন পারলে কোথাও রেখে দিন আর রোজ ফলো করে দেখুন এক মাসের মধ্যে পেয়ে যাবেন ফলাফল –
বাকি যা খুশি খান কিন্তু মনে রখবেন সঙ্গে কি কি খাবেন ? রইলো তালিকা
১। হাই ফাইবার সিরিয়াল (ব্র্যানফ্লেকস)- ব্রেকফাস্টে খান, প্রতিদিন যে পরিমাণ ফাইবার শরীরের প্রয়োজন তর অনেকটাই পেয়ে যাবেন এখান থেকে। প্রায় ১৩-১৪ গ্রাম ফাইবার থাকে প্রতি সার্ভিং-য়ে
২। বেরি- ফাইবারের দারুণ উৎস। ১ কাপ র্যাসবেরির মধ্যে ৮ গ্রাম ফাইবার থাকে আর ৩/৪ কাপ ব্লুবেরিজ়ে প্রায় ৫ গ্রাম ফাইবার পাওয়া যায়। সুতরাং হিসেবটা ভালই বুঝতে পারছেন।
৩। আর্টিচোকস, ব্রকোলি, কড়াইশুঁটি,অ্যাভোকাডোর মধ্যেও প্রচুর ফাইবার থাকে।
৪। স্কানডিনেভিয়ান ক্রিস্প ব্রেডস মানেই লো ক্যালরি আর হাই ফাইবার।
৫। হোল হুইট পাস্তা, ওটমিলেও ভাল পরিমাণ ফাইবার থাকে।
ভাবছেন এত ফাইবার দেওয়া খাবারের কথা কোনো লিখছি ? ওজন কমানোর জন্য আমাদের ভরসা ফাইবার আর প্রোটিনের যথাযথ অনুপাত। এই দুটো আপনাকে খেতে হবে। তা হলে ওজন কমবেই। ঠিক থাকে ফাইবার খেলেই কমবে ওজন সঙ্গে আরো কিছু জিনিস মাথায় রাখবেন –
সঠিক কার্বোহাইড্রেট খাওয়া জরুরি। কারণ এতে থাকে কম ক্যালরি অথচ পেট ভর্তি থাকে অনেকক্ষণ। সঙ্গে মেটাবলিজ়মও বেড়ে যায়। রেস্তরাঁয় খেতেই পারেন। শুধু ফাইবার রিচ খাবার খেলেই হল। ডায়েটিং আর সোশ্যাল ড্রিঙ্কিং একসঙ্গে চলতে পারে। সঠিক খাবার খেয়ে আপনি ওজন কমাতে পারবেন। অ্যাক্টিভ অবশ্যই থাকুন।