‘সানগ্লাস’ নামটা শুনলে আমাদের কি মনে হয় ? আরে এতে মনে হবার কি আছে সানগ্লাস সূর্যের কড়া রোদের হাত থেকে বাঁচায় আর পড়লে নিজেকে দেখতে সুন্দর লাগে।
সঠিক উত্তরটা হলো না। সানগ্লাসটা অনেকটা নেশা করার পরে মানুষের অবস্থার মতো। আপনি নেশা করবার পরে কখনো দুটো চাঁদ দেখছেন, দেখছেন আপনি স্থির বাকি সবই ঘুরছে আবার কখনও দেখবেন গাছের রং সবুজ থেকে কালো হয়ে গেছে অথবা লাল হয়ে গেছে। অর্থাৎ সানগ্লাস পরলে আমরা বাইরের জগৎটা কে আসল চেহারায় দেখি না দেখি অনেকটা রঙিন এবং জীবন্তময়।
মুক্তি পেয়েছেন অরিজিৎ সরকার পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি ‘সানগ্লাস’। শুধু এইটুকু বলব আপনার নিজেদের মূল্যবান সময় থেকে ৩৫ টা মিনিট খরচ করে এই ছবিটি একবার দেখুন। ছবিটি দেখার পর আপনার মনে হবে না যে আপনি ৩৫ টা মিনিট অকারণে খরচ করেছেন।
সর্বপ্রথমে ধন্যবাদ জানানো উচিত পরিচালক অরিজিৎ সরকারকে এই ধরনের একটি কনসেপ্ট নিয়ে এই স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিটি নির্মাণ করার জন্য। এই ধরনের সামাজিক বার্তাবহ ছবি আরো অধিক পরিমাণে তৈরি হওয়া প্রয়োজন। পরিচালক যে সামাজিক বার্তা আমাদের দিয়েছেন তা ছবিটি দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন।
আরিয়ান ভৌমিক এর অভিনয় এককথায় অনবদ্য। তিনি প্রত্যেকটি দৃশ্যকে যেভাবে জাস্টিফাই করেছেন তার জন্য তার যত প্রশংসা করি কম পড়বে।
কিন্তু সবচেয়ে মজার এবং গুরুত্বপূর্ণ শেষ দশ মিনিট। এই শেষ দশ মিনিট বর্ষীয়ান অভিনেতা অরুণ মুখোপাধ্যায় এবং আরিয়ানের অভিনয় আপনাদের মনে জায়গা করে নেবে।
এই ছবিটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন অরব দে এবং ইন্দ্রনীল চ্যাটার্জী। তারা একটি গান কে যেভাবে আবহসংগীত হিসেবে ব্যবহার করেছেন তাতে ছবিটির ব্যাপ্তি এবং তাৎপর্য আরও বলিষ্ঠ হয়েছে।
প্রযোজক সম্রাট প্রামাণিকের অনেকটা বড় ধন্যবাদ প্রাপ্য। এর কারণ তিনি এই ধরনের কনসেপ্টের প্রতি আস্থা রেখেছেন। আজকাল এই ধরনের কনসেপ্টের প্রতি এর প্রতি প্রযোজকদের একটা আস্থা থাকে না ঝুঁকি ছাড়া করতে চায়। এক্ষেত্রে কিন্তু ঝুঁকি নিয়েই এত সুন্দর একটা ছবি আমাদের উপহার দিয়েছেন।
এর সাথে ‘কনফিউজড পিকচার’ ইউটিউব চ্যানেল এবং তাদের টিম কেও ধন্যবাদ জানানো উচিত এ ধরনের ইন্ডিপেন্ডেন্ট কনটেন্ট নিয়ে কাজ করবার জন্য এবং মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
পরিচালক অরিজিৎ সরকারের স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি ‘সানগ্লাস’ : ‘মৌলিক ও অনন্য চিত্রনাট্য’ এবং ‘গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বার্তাবহ’ স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি
