পরিচালক সন্দীপ সরকারের ছবি ”অন্তর্দ্বন্দ্ব”এর গ্লোবাল প্রিমিয়ার আজ হল ‘ক্লিক’ ওটিটি প্ল্যাটফর্মে

পরিচালক সন্দীপ সরকার এর ছবি ”অন্তর্দ্বন্দ্ব”এর গ্লোবাল প্রিমিয়ার আজ ক্লিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দেখা যাচ্ছে বা স্ট্রিমিং হচ্ছে। এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন সন্দীপ সরকার। এই ছবিটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন : জয় সেনগুপ্ত , মধুমিতা সরকার, চন্দন সেন, মিঠু চক্রবর্তী, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী প্রমূখ। এই ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছেন মধুমিতা সরকার।

মফস্বলের একজন শিক্ষিতা সরল সাধাসিধে মেয়ে, পৃথা(পৃথা চরিত্রে অভিনয় করেছেন মধুমিতা সরকার) । পাত্রচাই – এর বিজ্ঞাপন দেখে ব্যাঙ্গালোরে চাকুরিরতা ঋদ্ধিমানের(ঋদ্ধিমান এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয় সেনগুপ্ত) সাথে পৃথার বিয়ে দিয়েছিলেন তার মা – বাবা । বিয়ের পর পৃথার জীবনটাই বদলে গেলো । কি হলো সেটাই দেখার বিষয়বস্তু…

সলিলবাবু (সুলিলবাবু অর্থাৎ পৃথার বাবার চরিত্রে অভিনয় করছেন বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী)এবং পাপিয়ার(পাপিয়া অর্থাৎ পৃথার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন মিঠু চক্রবর্তী) একমাত্র মেয়ে পৃথার জন্যে অনেকদিন ধরে পাত্র খুঁজতে খুঁজতে শেষত নামকরা এক ম্যাট্রিমোনিয়ালের থেকে ব্যাঙ্গালোরে চাকুরিরত ঋদ্ধিমান চ্যাটার্জিকে উপযুক্ত জামাই হিসেবে মেনে নেয় । প্রাইভেট ফার্মে চাকুরিরত ঋদ্ধিমান বিয়ের আনুষ্ঠানিক নিয়ম কানুনে আটকা পরে এতবেশি পরিমাণ ছুটি নিয়ে ফেলায়, বিয়ের ২ মাসের মধ্যে তার চাকরিটি চলে যায় । ঋদ্ধিমান অফিসের এই সিদ্ধান্তে দুঃখিত এবং হতাশাগ্রস্ত হলেও, সলিলবাবু এবং পাপিয়া বেশ খুশি হয়, কারণ তাদের ঘর জামাই রাখাটাই বেশি পছন্দ ছিল । সলিলবাবু এবং পাপিয়ার যা কিছু সম্পত্তি ছিল, সবেরই nominee ছিল তাদের একমাত্র মেয়ে পৃথা । ঋদ্ধিমান শ্বশুরবাড়িতে থাকাকালীন চাকরির সন্ধান করতে থাকে । এমনই সময় হঠাৎ সলিলবাবু মারা যান, তাই শোকে কিছুদিন পর পাপিয়াও মারা যান । জামাইয়ের এতো ভালো ব্যবহার এবং সেবা যত্ন থাকা সত্ত্বেও কিভাবে দুজনে হঠাৎ করে মারা গেলেন, সেই ভেবে পাড়া প্রতিবেশী বিস্মিত হয়ে যায় । এরপর nominee থাকায় পৃথা মা – বাবার সম্পত্তি পেয়ে যায়।

কিছুদিন পর পৃথার ফোনে একটা অচেনা লোকের ফোন আসে, যে জানায় পৃথার মা এবং বাবাকে slow – poison করে মেরে ফেলা হয়েছে। ধীরে ধীরে পৃথা মানসিক ভারসাম্য হারাতে থাকে । অযথা ঘুমের ওষুধ খেতে শুরু করে । মাঝেমধ্যে আত্মহত্যা করার চেষ্টাও করে সে । প্রতিবেশীরা জানতে পেরে ঋদ্ধিমানকে থানায় inform করার জন্য মতামত দেয় । ঋদ্ধিমান পৃথাকে psychiatrist দেখায় এবং থানায় inform করে রাখে । হঠাৎ একদিন পৃথা আত্মহত্যা করেই ফেলে ।এরপর ছবিতে কি হল তা জানতে হলে আপনাদের অবশ্যই দেখতে হবে ‘অন্তর্দ্বন্দ্ব’ ছবিটি ক্লিক ওটিটি প্লাটফর্মে।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x