ফ্রিদা কাহলোর ১১৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শিল্পী সৌমিতা সাহা আয়োজন করেছেন এক ভার্চুয়াল চিএ প্রর্দশনীর। প্রর্দশনীর নাম ” রুমিনেটিং ফ্রিদা (Ruminating Frida) “

ফ্রিদা কাহলোর জন্মদিনে ‘ফ্রিদা’-র ফ্রীদা হয়ে ওঠার গল্প বলবে সৌমিতা সাহা-র একক প্রর্দশনী ‘ রুমিনেটিং ফ্রিদা’।
ফ্রিদা কাহলো নামটি চারুকলা জগতের বাইরে ও বেশ জনপ্রিয়। নারীবাদের ‘সেল্ফ লাভ’ জোয়ারে গা ভাসাননি এমন নারীর সংখ্যা কম। ফ্রিদা ছিলেন বিংশ শতাব্দির এমন একজন নারী যিনি এনেছিলেন এই প্রচলন।

ফ্রিদা কাহলোর জন্মদিনে শিল্পী সৌমিতা সাহা-র একক প্রর্দশনী ‘ রুমিনেটিং ফ্রিদা’র কয়েকটি চিত্র।


ফ্রিদা কালোকে বলা হয় বিংশ শতাব্দীরর সবচেয়ে বেদনালীন এক শিল্পী যিনি সৃষ্টি করেছেন এক জীবনমথিত বেদনাগাঁথার ধারাবাহিক ক্যানভাস।১৯০৭ সালে মেক্সিকোর কয়োকান শহরে জন্ম হয় ফ্রিদার,পুরো নাম ম্যাগদালিনা কারম্যান ফ্রিদা কাহলো ই ক্যালদেরন। ফ্রিদা কাহলোর ১১৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শিল্পী সৌমিতা সাহা আয়োজন করেছেন এক ভার্চুয়াল চিএ প্রর্দশনীর। প্রর্দশনীর নাম ” রুমিনেটিং ফ্রিদা (Ruminating Frida) “, সৌমিতার আঁকা “অ্যাফ্লেটাস” ছবি চারুকলা জগতে ইতি মধ্যেই যথেষ্ট চর্চিত। এই ছবিতে ফ্রিদার প্রতিকৃতি মেলানো হয় “peace ” শব্দ লিখে।

ফ্রিদা কাহলোর জন্মদিনে শিল্পী সৌমিতা সাহা-র একক প্রর্দশনী ‘ রুমিনেটিং ফ্রিদা’র কয়েকটি চিত্র।

১৯৩০ সালে জার্মানীতে যখন নাৎসিবাদিতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে, তখন ফ্রিদা নিজের নামের বানান লিখা শুরু করেন Frieda, যা জার্মান Frieden (শান্তি) শব্দটির অপভ্রংশ! মূলত সেই বিষয়টি ঠাঁই পেয়েছেন শিল্পী সৌমিতা সাহা-র ছবিতে। অ্যাফ্লেটাস সহ আর কিছু বিভিন্ন ধারার ছবিতে সৌমিতার ক্যানভাসে ফুটে উঠেছে ফ্রিদার মুখ। প্রর্দশনীকে কোভিড পরিস্থিতির জন্য ভার্চুয়াল রাখতে বাধ্য হন সৌমিতা। প্রর্দশনী শুরু হচ্ছে ৬ই জুলাই অর্থাৎ ফ্রিদার জন্মদিন উপলক্ষে, ফ্রিদার প্রয়াণ দিবস ১৩ই জুলাই অবধি।৪৭ বছর বয়সে প্রয়াত এই শিল্পী আত্মপ্রতিকৃতি এঁকেছিলেন পঞ্চান্নটি। বলতেন, যার সঙ্গে চেনাজানা আর বোঝাপড়া অন্তহীন তিনি তাঁরই ছবি আঁকেন।ম্যজিক্ রিয়েলিজম কথা বলত শিল্পীর ক্যানভাসে, যাতে ঠাঁই পেয়েছে তার ছোট্ট বেলার নীল বাড়ী।

ফ্রিদা কাহলোর জন্মদিনে শিল্পী সৌমিতা সাহা-র একক প্রর্দশনী ‘ রুমিনেটিং ফ্রিদা’র কয়েকটি চিত্র এবং শিল্পী সৌমিতা সাহা।


সৌমিতা বলেন “ফ্রিদার জীবন আমাকে অনুপ্রাণিত করে।জীবনের পরতে পরতে যে শিল্পীর বেদনাঘন জীবন এসে ছুঁয়ে ছুঁয়ে গেছে বারবার সেই প্রিয় শিল্পী ফ্রিদা কালোকে নিয়ে কিছু ব্যাক্ত করা কঠিন। জীবনের বেশির ভাগটাই বিষাদ, আনন্দ সামান্যই। তবু অজস্র রঙে ভরিয়ে তুলতেন ক্যানভাস। এমন একজন শিল্পী আমার কাছে পূজনীয়।” সৌমিতা একজন সফল সঙ্গীতশিল্পী হওয়ার পাশাপাশি অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন চিত্রকর। সৌমিতার আঁকা ছবি সম্প্রতি প্রর্দশিত হয় পোর্টল্যান্ডের প্রসিদ্ধ আর্ট রীচ্ গ্যারিতে।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x