একটি মেয়ে ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতো… স্বপ্ন দেখতো সৃজনশীল কিছু একটা করবে। তার দুচোখ জুড়ে স্বপ্ন ছিল সমাজের বুকে নিজের ছাপ রেখে যাওয়া। সেই লক্ষ্যেই ছোটবেলা থেকেই ভারতনাট্যম শেখা শুরু করেন। দুই থেকে আড়াই বছর বয়স থেকেই তার ভারতনাট্যম শেখা শুরু হয়। তার প্রথম গুরু শ্রী কল্লোল দাস যার কাছে তিনি প্রায় ছয় বছর ভারতনাট্যম শেখেন। এরপর শ্রী রাহুল সিনহার কাছে তিন থেকে চার বছর ভারতনাট্যম শেখেন। তিনি হলেন প্রতিভাবান অভিনেত্রী ঋষিতা দাস।

ভারতনাট্যম দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও অভিনয়ের প্রতি তার বরাবরই একটা বিশেষ ভালোবাসা ছিল। সেই ভালোবাসার টানে তিনি ধীরে ধীরে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন অভিনয়জগতে আসবার জন্য। তার পরিবারের কেউই চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়। ফলে তার পক্ষে চলচ্চিত্র জগতে আসা টা খুবই কঠিন ছিল, বহু জায়গা থেকে উপেক্ষিত হয়েও তিনি হাল ছাড়েননি। নিজের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছেন অবিচলভাবে। এখনো তার স্ট্রাগল চলছে।

তিনি ‘জাহ্নবী সংস্কৃতিক চক্র’এর সঙ্গে প্রায় একবছর যুক্ত রয়েছেন এবং নিয়মিত থিয়েটার করেন। তিনি বলেন থিয়েটার থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। সঠিকভাবে অভিনয় করতে থিয়েটার আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। থিয়েটারের এই শিক্ষা এখনও চলছে আমার কাছে সম্পদ তুল্য।

পরিচালক সায়ন বসুচৌধুরীর আগামী ছবি ‘হরর স্টোরিজ’ এ তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই ছবিটি মূলত তিনটি গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে। তার মধ্যে একটি গল্পের একটি চরিত্র অভিমন্যুর বোনের চরিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন। এই চরিত্রকে নিয়ে তিনি খুবই উৎসাহী এবং যথেষ্ট আশাবাদী।
পরিচালক সায়ন বসু চৌধুরীর সঙ্গে তিনি এর আগেও ‘আসছে বছর আবার হবে ২’তে কাজ করেছেন। এটি পরিচালকের সাথে তার দ্বিতীয় কাজ।

পরিচালক সায়ন বসু চৌধুরীর সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,”সায়নদার সাথে কাজ করতে আমার সবসময়ই ভাল লাগে। কোনরকম অভিনয়ের ক্ষেত্রে অসুবিধা হলে তিনি সবসময় আমাদেরকে সাহায্য করেন। তিনি প্রতিটি দৃশ্য ভালোভাবে বুঝিয়ে দেন। সায়ন তাকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই এই রকম একটি সুন্দর প্রজেক্ট এর পার্ট হিসেবে আমাকে সিলেক্ট করার জন্য।ভবিষ্যতেও আমি চাইবো সায়ন দার সাথে কাজ করতে।

থিয়েটার এবং সিনেমায় অভিনয়ের মধ্যে কঠিন কোন ক্ষেত্র জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন দুটি ক্ষেত্রে অভিনয় করা কঠিন তবে সিনেমার ক্ষেত্রে একটু ভুল হলে পরে তা সংশোধন করা যায় কিন্তু থিয়েটারের ক্ষেত্রে তা কখনোই সম্ভব নয়। কিন্তু থিয়েটার এবং চলচ্চিত্র দুটি মাধ্যমে নিজ নিজ ক্ষেত্রে স্বগৌরবময় এবং গুরুত্বপূর্ন।
ঋষিতা বলেন আমার অভিনয় করতে ভালো লাগে এবং অভিনয় করার সময় যখন বিভিন্ন চরিত্র আমি করতে পারি, সেই চরিত্রগুলিকে আমি বহন করি তখন খুব ভালো লাগে। চরিত্র গুলির সঙ্গে মনে হয় যেন একাত্ম হয়ে গেছি।
তার ভবিষ্যৎ কাজ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন বেশ কয়েকটি প্রজেক্ট নিয়ে কথা চলছে তবে তা এখনও ফাইনাল হয়নি।