1) কিশমিশ এর বিষয়বস্তু কি
উঃকিশমিশ দেখতে খারাপ হলেও মুখে মিষ্টি। এটা একটা ফ্যামিলি লাভ স্টোরি।
২) কিশমিশ তৈরি কিভাবে হলো কীভাবে তুমি দেব কে অপ্র্যচ করলে।
উঃ কিশমিশ আমি ২০১৪-২০১৫ সালে লিখি। এই গল্পটা আমি অনেক কে শুনিয়েছি। কারোর ভালো লেগেছে কারোর লাগেনি। তারপর আমি খরাজ মুখার্জী কে অ্যাপ্রচ করি। খরাজদার গল্পটা ভালো লাগে, এবং সেটা দেবকে শোনায়। এরপর দেব ডিটেলে শুনতে চায় আমি ১-২ মাস পর দেবকে স্ক্রিপ্টটা শোনাই তারপর দেবের ভালো লাগে, এবং রুক্মিণীর ও ভালো লাগে ।
৩) তোমরা ডিসেম্বর টাই কেন প্ল্যান করলে? আল্লু আজুনের পুস্পা, আমির খানের লাল সিং চাড্ডা।
ম্যাট্রিক্স, স্পাই ডার ম্যান। বাংলায় সেখানে , কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন, এছাড়াও আরও অনেক সিনেমা আসছে মনে হয়না যেই কম্পিটিশন এর জন্য বাংলা সিনেমা ক্রমশ অবনতির দিকে যাচ্ছে।
উঃ আমি এক বছর আগেই টিজারে বলে দিয়েছি, দাদা দিদি ও গোয়েন্দাদের ভিড়ে আমাদের একটা ছোট্ট মিষ্টি গল্প। কে আসছে সেটা বিষয়বস্তু নয়। আমাদের মনে হয়েছে কোথাও ডিসেম্বরে ছবিটা রিলিজ করলে ভালো হয় অনেক মানুষ প্রেমের ছবি দেখতে ভালোবাসে। আমাদের সাথে কারোর কম্পিটিশন নেই,। যেই সিনেমা আসুক না কেন তারা তাদের মত করে এগোবে আমরা আমাদের মতো করে এগাবো। এই সিনেমাটাতে দর্শক অনেক নতুনত্ব জিনিস দেখতে পাবে। 2D Animation. ছাড়াও দেব ও রুক্মিণীর ফ্রেশ লুক। বিষয়টা পুরো জমে যাবে ।
৪) একটা সময় ছিল আনুমানিক ২০১০-১১ যেখানে প্রচুর সিনেমা সেদিন-দেখা-হয়েছিল ,পাগলু, অনেক ব্যবসা করেছিল কিন্তু এখনকার সময়ে সিনেমাগুলো যে বাজেট হয় সেই বাজেটের থেকে রিকভারি করাটাই এখন অনেকটা চাপের হয়ে যায়।
উঃ দেখো আমরা কাউকে কমপ্লেইন করতে চাইনা। ভালো সিনেমা না বানালে দর্শকরা আসবেনা। কোভিড কে দোষারোপ করে, বা সিনেমা হল কে দোষারোপ করে কোনো লাভ নেই। লাস্ট বেশকিছু বছরে বেশকিছু ভালো সিনেমা হয়েছে যেখানে দর্শকরা এসেছে। সিনেমা বানাতে গেলে ইচ্ছে লাগে। তুমি দেখো আসা যাওয়ার মাঝে যে সিনেমাটা এসেছিল সেটাও খুব ভালো ব্যবসা করেছিল। সেটাও খুব কম বাজেটের সিনেমা। কিন্তু প্রচন্ড সাকসেসফুল। আবার ‘চাঁদের পাহাড়’ বিশাল বাজেটের ছবি দারুন রিকভারি করেছে। ‘চতুষ্কোণ’ বলে যে সিনেমাটা এসেছিল সেখানে আমি প্রোডাকশনে ছিলাম সেটাও খুব ভালো ব্যবসা করেছে। কাকাবাবুর প্রথমদিককার সিনেমাগুলো খুব ভালো ব্যবসা করেছে। তুমি এক কোটির সিনেমা করছো না দু’কোটির সিনেমা করছো সেটা ম্যাটার নয় ভাল কনটেন্ট হলে দর্শকরা এমনি আসবে। তুমি যদি শিবপ্রসাদ মুখার্জী সিনেমা গুলো দেখো ‘বেলা শেষে’ বা, ‘হামি’ সেগুলো ভালো সফল হয়েছে।
কনটেন্ট ভালো হতে হবে, এক্সিকিউশন ভালো হতে হবে, স্ক্রিপ্ট ভালো হতে হবে। তাহলেই দর্শকরা আসবে।সেটা প্রিয়া সিনেমা হলে আসুক বা প্রাচীতে আসুক কিংবা আই নক্সে আসুক।
৫) তামিল তেলেগু সিনেমা ডিরেক্টরদের প্রচুর ইউনিটি, সেখানকার পরিচালকরা একে অপরের সিনেমা টুইট করে রিটুইট করে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে শেয়ার করে বাংলায় পরিচালকদের মধ্যে সেটা হচ্ছে না কেন অন্যের কাজ তারা কেন শেয়ার করে না?
উঃ দেখো এই ধারনাটা ভুল। আমার যাদের সাথে আলাপ আছে যাদেরকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি তারা সবাই আমায় সাপোর্ট করছে। আমার সিনেমাতে তিনজন পরিচালক কাজ করছে। আমার সিনেমাতে কমলেশ্বর মুখার্জী দা , অভিনয় করছে। বাবা যাদব Dance choreography করছে। এছাড়াও রাজদীপ ঘোষ সেও খুব ভালো অভিনেতা এবং পরিচালক আগে অনেক সিনেমা করেছে, সেও আমার সিনেমা তে কাজ করছে। সৃজিত হোক কিংবা কৌশিকদা এরা প্রত্যেকেই আমায় সাপোর্ট করেছে। এছাড়াও অনেকেই আমায় সাপোর্ট করছে। শ্রীজাতর একটা লোকেশন খুঁজে দেওয়ার জন্য সাহায্য করেছি। এছাড়াও দেবালয় দা বা উৎসব দা আমার খুব ভালো বন্ধু তারাও খুব সাহায্য করেছে। টুইট না করলে যে সে আমার শত্রু আমি তা একদমই মনে করিনা। ইন্ডাস্ট্রিতে যথেষ্ট ইউনিটি আছে। ইউনিটি না থাকলে আমার সিনেমাতে ছয়জন স্পেশাল গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্সের অভিনয় করত না। কখনো মনোমালিন্য হয় কখনো ঝগড়া হয় আবার সেই সাথে ভালোবাসা টাও থাকে। কাজের জন্য হয় কাজের লড়াই হয়। কারোর কারোর সাথে আলাপ নেই সেটা আলাদা ব্যাপার। যাদের সাথে আমার ব্যক্তিগত ভাবে আলাপ আছে তারা প্রত্যেকেই আমায় খুবই সাপোর্ট করেছে। এমনকি অনেক প্রযোজক ও আছে যাদের সাথে আমার সিনেমার কোন সম্পর্ক নেই তারাও টুইট করেছে, অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীরা টুইট করেছে যারা এই সিনেমাতে কাজ করছে না। ইভেন রাজা চন্দ আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে উইশ করেছে।
৬) আমি সায়রা বানু সিনেমাটি রিলিজ করছে না কেন।
উঃ- সেই সময় চিটফান্ড কান্ডের মতো এক অদ্ভুত কারণের জন্য । সেই জন্য অন্য আর কোন প্রযোজক জড়াতে চাইনি এই সিনেমাটার সঙ্গে। তারপর আমার কাছেও সোর্স ছিল না। দিতিপ্রিয়া বড় হয়ে গেল, রীতা কয়রাল মারা গেল। রাজকুমার রাও সুপারস্টার হয়ে গেলো । প্রত্যেক পরিচালকেরই কিছু কাজ না বলা থাকে।
৭) মুম্বাইতে কাজ করার কোন প্ল্যান কি আছে।
উঃআমি এখনো এতদূর ভাবি নি। ১০ বছর স্ট্রাগেল করে একটা সিনেমা পেয়েছি এই সিনেমাটা খুব মনোযোগ দিয়ে বানাতে চাই। ভবিষ্যতে যদি কোন অফার পাই তাহলে দেখব। কিন্তু বাংলা সিনেমা বানিয়ে অদ্ভুত শান্তি পাই। আমি বাংলা ভাষায় কাজ করতে চাই।
৮) তোমার রম কম হল, এরপর সায়েন্স ফিকশন, কমেডি ড্রামা সম্ভবত হয়ে গেছে, এরপর কি হরর সিনেমা করার কোন প্লান আছে।
উঃ আমি এখনো অতদূর ভাবি নি। কিশমিশ টাই ভালোভাবে করতে চাই। কোভিডের কারণে কিশমিশ টা কুড়িতে আটকে গেছিল তাই একুশে বানাচ্ছি। চংচং ও আমার অনেক বছর আগের লেখা। হ্যাঁ কিন্তু কয়েকটা গল্প আমার মাথায় আছে যেগুলো মনে হয় দর্শকের কাছে পৌঁছানো উচিত। সুযোগ পাওয়াটা সবথেকে বড় ইম্পর্টেন্ট। কিসমিস সাক্সেস হওয়া টা আমার কাছে সব থেকে বড় ইম্পর্টেন্ট। যদি প্রযোজকরা আমায় বিশ্বাস করে তাহলে নিশ্চয়ই আরও ভালো কাজ করবো।
৯) যারা নতুন সিনেমা বানাতে চায় তুমি তাদেরকে ইন্সপায়ার কিভাবে করতে চাও।
উঃ It’s all about content . যদি তুমি লিখতে পারো, সেটাকে কাজে লাগাও। এখন ইউটিউব এর মতো প্লাটফর্মে এসে গেছে। আমি যেই সময় শুরু করেছিলাম সেই সময় এতো প্লাটফর্ম ছিল না। । ভুলে যাও তোমার বাজেট কি আছে, তোমার ইকুইপমেন্ট কি আছে লোকেরা কেউ মনে রাখবে না। You need to narrate a beautiful story. কখনোই এটা বলবে না যে স্টারেরা Date দিলো না বলে আমার সিনেমা বানানো হলো না। বাজেট নেই তাই সিনেমা হল না। খুব ভালো স্টোরিটেলার হতে হবে। you need paper, you need pen , you need phone, আর ইচ্ছাটা থাকা দরকার।