
১) লকডাউন এ নামের সাথে বাস্তব পরিস্থিতির কতটা সাদৃশ্য খুঁজে পাবো ?
উঃ সাদৃশ্য তো আছেই। কারণ সিনেমার বিষয়বস্তু লকডাউন কে ঘিরে। 2020 লকডাউন যেদিন এনাউন্স হয় সেই দিনটাকে ঘিরে। আমাদের ছবির চরিত্র গুলো তাদের কাছে বিষয়টা নতুন, এই রকম পরিস্থিতিতে আমরা কোনদিন কখনো পড়িনি। খারাপ সিচুয়েশনের মধ্যেও ভালো থাকার চেষ্টা করছি। আমাদের ছবি চরিত্রগুলো কিভাবে coop up করছে, সেই গল্পই বলা হবে লকডাউনে এবং হ্যাঁ বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে কিছুতো সাদৃশ্য রয়েছেই।
২) ‘টেকো’র মত ছবি এতো ভালো চিত্রনাট্য, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স থাকা সত্ত্বেও বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়নি। এক্ষেত্রে কোথাও কি মনে হয় না দর্শকদের আরো বেশি হলমুখী হওয়া প্রয়োজন এবং মানসিকতা পরিবর্তন হওয়া দরকার।
উঃ টেকোর মত সিনেমা যদি বলো , একটা সিনেমার পিছনে অনেক কিছু নির্ভর করে। একটা সিনেমার পিছনে হল নির্ভর করে, টাইমিং নির্ভর করে। ভালো সিনেমা হোক কিংবা খারাপ সিনেমা এটা মানুষের পার্সপেক্টিভ। তুমি যদি দেখো অনেক সিনেমা বেরিয়েছে গুলো আমি হলে দেখিনা, তাহলে তোমরা যাদের দোষ দেবে তাহলে আমি সেই দোষেই দুষ্ট। লকডাউন এর পরে যেই সিনেমা রিলিজ হয়েছে সেগুলো এখনও অবধি সময় করে আমি দেখতে পারিনি তবে মনে করি সিনেমা হলে যাওয়া দরকার এবং যারা সিনেমা ভালোবাসে তাদের দেখতে যাওয়া অবশ্যই দরকার। Ott যেইভাবে উঠে আসছে তার কনসেপ্ট পুরোটাই অন্যরকম, তুমি যদি দেখো শেরশাহ যেটা OTT তে বেরিয়েছে, সেটা হলে দেখার সিনেমা তার ডলবি, ভিসুয়াল , তার এফেক্ট অনেক বেশি লার্জার দ্যান লাইফ।
৩) ‘প্রেম আমার’, ‘কানামাছি’ ,’বোঝেনা সে বোঝেনা’, ‘শত্রু’ এই সব হিট সিনেমার লেখক তুমি । বর্তমান সময়ে রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে জুটি সেটা আবার আমরা দেখছি না কেন।
উঃপুরোটাই সাবজেক্টের উপর রাজদার সাথে কাজ করেছি প্রায় দশ বছর হয়ে গেল। আমি তো শুধু রাইটার হিসেবে কাজ করি নি শুরু করেছিলাম অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে। তুমি যে সিনেমার কথা বললে প্রেম আমার, বোঝেনা সে বোঝেনা রাজ দা যে লাভ স্টরি গুলো বানাতো, সেগুলো আমি লিখেছিলাম। এগুলো পুরোটাই সাবজেক্টের উপর ডিপেন্ডেন্ট। আজকে যখন রাজদা প্রলয় বানিয়েছে, তখন মনে হয়েছিল চিত্রনাট্য পদ্মনাভ দা কে দিয়ে লেখানো বেটার, সেখানে হয়তো আমি অতিরিক্ত সংলাপ লিখে ফেলি। পরের সিনেমাগুলো যদি বল বরবাদ, যোদ্ধা আমি এগুলো লিখেছি। পুরোটাই রাজদার মনে হয়েছে যে অভি সাবজেক্ট এর সঙ্গে জাস্টিফাই করতে পারবে কিনা । তুমি দেখবে যখনই প্রথম ডায়লগ বাজি ছবির কথা আসে তখনই এন কে সলিল এর কথা ভাবা হয়। যেখানে একটা ইমোশনাল ছবি বা থ্রিলার হয় তখনই পদ্মনাভদার কথা মাথায় আসে। হয়তো যখন রাজদা লাভ স্টোরি যখন বানাবে তখন হয়তো ডাকবে আমাকে। তুমি বরং এটা রাজদাকে প্রশ্ন করো (হেসে) প্রডিউসার রাইটার ডিরেক্টরকে ডাকে। রাইটার ডিরেক্টর প্রোডিউসার কে ডাকে না।
৪) নুরজাহান ছবিটি বাংলাদেশের যথেষ্ট প্রশংসিত হলেও এখানে সেভাবে সাফল্য পায়নি। এর প্রকৃত কারণ কি।
উঃনুরজাহান একদম ফ্রেশ পেয়ার নিয়ে সিনেমাটা বানানো। অদ্রিত আর পূজা দুজনে অভিনয় করেছিল। ইয়ং এজ লাভ স্টোরি, ফ্রেশ লাভ স্টোরি সেটা হয়তো দর্শক হলে দেখতে পছন্দ করছেন না, সেই জন্য নাও চলতে পারে। এখন সিনেমার ধাঁচ অনেক পাল্টে গেছে বা বলা যায় চলন অনেক পাল্টে গেছে, সুতরাং মেইনস্ট্রিম লাভ স্টোরি হয়তো আমরা কোথাও ভুল সময় চুজ করেছিলাম,সেইটা হয়তো এখানে সাফল্য পায়নি হয়তো বাংলাদেশে এই ছবির ঠিক সময় ছিল সেজন্য এত সাফল্য পেয়েছিল।

৫) ‘প্রলয়’ এর মত এত ভাল কনটেন্ট বক্সঅফিসে ব্যর্থ হয়। এটা কি সময়ের সমস্যা ছিল না দর্শকদের?
উঃনা এটা সময়ের সমস্যা আমি বলব। 2021 যদি প্রলয় আসতো তাহলে সিনেমাটা হয়তো ব্লকবাস্টার হতো। কিন্তু তখনকার দিনে প্রলয় একটু এগিয়ে থাকা ছবি ছিল। বক্স-অফিসে সাফল্য না পেলেও critically acclaimed প্রচন্ডভাবে হয়েছিল। তবে রাজদা কিন্তু দেখিয়ে দিয়েছিল একজন পরিচালক তখনই ভালো পরিচালক হবে যখন সে সব ধরনের ছবি নিজের মত করে বানিয়ে নিতে পারে।শুধুমাত্র একটা জনারের জন্য রাজদা তৈরী নয় সেটা প্রলয় করে রাজদা বুঝিয়ে দিয়েছিলো। এখন যে ধরনের সিনেমা আসছে ধর্মযুদ্ধ বা হাবজি গাবজি তার কনসেপ্টই অন্য ধরনের।
৬) এক্সপেরিমেন্টাল ছবির ক্ষেত্রে যদি সঠিক দর্শক না পাওয়া যায় বাণিজ্যিক বিফলতা আগামীতে ছবি নির্মাণের ক্ষেত্রে একটা বিশাল বড় ঝুঁকি হয়ে যায় না যেমন ধরো Tumbbad, mard ko Dard nehi hota, বা অনুরাগ কাশ্যপ ভিক্রমাদিত্য মতওয়ানের সিনেমাগুলো তুমি যদি দেখো সেগুলো না চলাটা কতটা বড় ঝুঁকি?
উঃভালো-খারাপ পুরোটাই আপেক্ষিক। তুমি যে সিনেমাগুলো বললে প্রত্যেকটাই ভালো সিনেমা।আমার বিক্রমাদিত্য র অনেক কাজ সত্যি খুব ভালো লাগে, Udaan হোক বা Trapped,lootera. । কোন সিনেমা চলবে কোন সিনেমা চলবে না সেগুলো ডিপেন্ড করছে অনেক ফ্যাক্টর এর উপর । বক্সঅফিস এ চলা সেটা সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস, ধরো তুমি দেখো ট্র্যাপড তার বাজেট অত্যন্ত স্বল্প। অন্যদিকে যদি দেখো সিম্বা তার বাজেট অনেক বেশি । ছোট বাজেটের ছবি ছোট টাকা প্রফিট করছে, বড় বাজেটের ছবি বড় টাকা প্রফিট করছে সেখানে দাঁড়িয়ে রেশিও টা মোটামুটি সমান।লোক হলে যাচ্ছে কি যাচ্ছে না সেটা ডিরেক্টরের প্রস্পেক্টিভ আলাদা হয় প্রডিউসারের প্রস্পেক্টিভ আলাদা হয়। ডিরেক্টর চায় সিনেমা হলে দর্শক এসে দেখুক আর প্রডিউসার চায় তার টাকা উঠে আসুক। প্রফিট এই ছবিগুলোতে হয় না সেরকম নয় প্রফিট মোটামুটি সব ছবিতেই হয় । তুমি বলিউডের কথা বললে বলেই বললাম এরা বুদ্ধিমান মানুষ অনেক বছর ধরেই ব্যবসা করছে। এনারা কেউ লস করতে ফিল্ডে নামেননি। অবশ্যই রাজকুমার রাও, আয়ুষ্মান খুরানা, ভিকি কৌশল এদের সিনেমা যেমন চলে , আবার অন্যদিকে তুমি যদি দেখো অক্ষয় কুমার শাহরুখ খান এদের বেশির ভাগ সিনেমাই বক্সঅফিস সাফল্যটা মারাত্মক লেভেলের হয় 90 percent ক্ষেত্রে। সুতরাং মানুষ যে মারাত্মক পরিণত হয়ে এক্সপেরিমেন্টাল ছবি দেখতে পছন্দ করছে, এবং মেইনস্ট্রিম কমার্শিয়াল ছবি দেখতে পছন্দ করছে তা নয় । মেইনস্ট্রিম কমার্শিয়াল ছবি মানুষ তখনই দেখছে যখন সিনেমাটা ভালো হচ্ছে। আমার মনে হয় এক্সপেরিমেন্টাল ছবি তখনই কেউ বানায় যখন দেখে মানুষদের কী রিঅ্যাকশন হয়। তুমি যদি দেখো এক্সপেরিমেন্টাল ছবি করতে করতে যখন পরিচালক ব্যর্থ হয় তখন সে অন্য সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য ধরনের সিনেমা করার চেষ্টা করে যাতে মানুষ হলে যায়।
৭) অনেক পরিচালকরা আছে 30 লাখ 40 লাখ এমনকি 50 লাখ টাকার সিনেমা করে, কিন্তু প্রযোজকরা টাকা রিটার্ন পায়না। বর্তমানে সে প্রযোজকরা আর কাজ করে না। এটা তুমি কিভাবে দেখছো
উঃপ্রযোজকরা অনেক ধরনের হয়। কেউ কেউ আছে যারা ইন্ডাস্ট্রি লিড করছেন। তারাও তো একসময় শুরু থেকে উঠেছেন। সিনেম্যাটিক সেন্সের সঙ্গে বিজনেস সেন্স রয়েছে। আর তাছাড়া সবাই টাকা ইনকাম করতে আসে তা নয়। আমি এমন কোন ছবি বানাবো না যেখানে আমার মনে হয় আমার 5 লাখ টাকা হলেও লস হবে। আমি এমন ছবি বানালাম যে ছবিতে আমার লাভ নেই লোকসান নেই চলো ঠিক আছে। ফার্স্ট অফ অল যেখানে যার ই পয়সা হোক তার যদি টাকা লস হয় ওরকম কোন সিনেমা আমি বানাবোই না। দ্বিতীয়ত তুমি যেই প্রডিউসারের কথা বলছো ,বা যে ডিরেক্টররা এই বাজেটের সিনেমা গুলো করছে আমি জানি না যে তাদের মেন্টালিটি কি রকম হয় তারা কেন ছবি বানান অথবা কি ছবি বানান। প্রবলেমটা 25 লাখ 30 লাখের ছবি নয়, আমাকে জানতে হবে আমি কি ছবি বানাচ্ছি কেন ছবি বানাচ্ছি সেই ছবিটার গুরুত্ব টা কি। তুমি দেখো টেকোর বাজেট কিন্তু অত্যন্ত কম অত্যন্ত অল্প সময়ে শুট করা একটা ছবি । ছবিটা কি বানাচ্ছি এবং আমার কাস্টিং কে সেটা সবথেকে ইম্পর্ট্যান্ট। মানে আমি একটা ছবি বানাচ্ছি ফেসবুকে ছাড়ার জন্য, বা হেবি ক্রেডিট নিলাম তার তো কোনো মানে নেই প্রডিউসার কে পয়সা ফেরত দেওয়া হলো আমার মেন প্রায়োরিটি। আমি ভালো সিনেমা বানাবো, ভালো গল্প নিয়ে । যে সেটা পেরেছে সে আজকে বড় ডিরেক্টার হয়ে গেছে এটা করতে যারা পারেন না তারা একটা দুটো ছবি করে বসে যান। সেটা প্রডিউসারের দিক থেকেও কিংবা ডিরেক্টরের দিক থেকে।
৯) আপনার অভিনীত ছোট ছোট চরিত্রগুলো দর্শকদের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। অভিনয়ের ব্যাপারটা সিরিয়াসলি দেখেন কি?
উঃ:- আমার অভিনীত যে ছোট চরিত্রের কথা বলছো সেগুলো বেশিরভাগ ছবি হলো রাজদার ছবিতে,যখন আমি স্ক্রিপ্ট লিখতাম বা স্কিপ্ট পড়তাম তখন আমি যেই চরিত্রটা করব বলে মনে করতাম রাজ দা কে বলে দিতাম। তুমি এই প্রশ্নটা অন্য পরিচালককে করো তারা আমাকে নেবেন কিনা যদি আমাকে নেন তাহলে আমি করতে রাজি আছি (হেসে)।

১০) আগামী দিনে কোন কোন প্রজেক্ট নিয়ে আপনার কাজ চলছে?
উঃ:- এই মুহূর্তে তুমি যদি দেখো লকডাউন বলে সিনেমাটা আমরা চেষ্টা করছি 10 তারিখে রিলিজ করানোর, তারপর আরেকটি ছবি আছে যেটা untitled সেটা জয়দীপ দা এবং আমার প্রোডাকশনের। আমি লিখছি এবং ক্রিয়েটিভ টা দেখছি রজত বলে একটা ছেলে সে ডিরেক্ট করবে। আরেকটি ছবি Haluaman বলে, এছাড়াও পুজোর পরে আরেকটা ছবির শুটিং করবো সেটা এই মুহূর্তে এখনো কিছু বলছি না, এছাড়াও আরও প্রডাকশনের প্লানিং রয়েছে দেখা যাক।
11) তামিল তেলেগু সিনেমা তে ওদের অনেক ইউনিটি আছে, ওরা অন্যের সিনেমা টুইট করে রি-টুইট করে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে শেয়ার করে, বাংলাতে সেটা হয় না কেন? ইগোর জন্য কি বাংলা সিনেমা ক্ষতি হচ্ছে
উঃ তুমি যদি Twitter আর ইনস্টাগ্রামের কথা বলো তাহলে সেটা হয়।যদি একটা ভালো প্রজেক্ট হয় তাহলে অনেক ডিরেক্টর টুইট করে। হয়তো একে অপরের সাথে বনে না বলেই কোলাবোরেশন এ যায় না। South এ সিনেমাটা ওদের ওখানে ধর্ম । দক্ষিণী ভাষার ছবিকে ওরা খুব প্রাধান্য দেয়, কিন্তু এখানে পুরোটাই উল্টো বিষয় ।
১২) একটা সময় রিমেক সিনেমা বাংলাতে প্রচুর হতো, রিমেক সিনেমার জন্য কোথাও বাংলার দর্শক হারিয়ে গেছে।
উঃ শহরের মানুষ কিন্তু দেখতে গেছে আমার লাস্ট ছবি ।তুমি যদি দেখো আমি ফ্লাইওভারের কথা বলছি। মানুষ ভালো ছবি হলে দেখছে খারাপ ছবি হলে দেখছে না। রিমেক কি অরিজিনাল আমার কাছে সেটা ফ্যাক্টর করে না। ছবিটার গল্প কি ছবিটাকে কি আমি বাঙালিয়ানা দিতে পারব আর যদি দিতে পারি তাহলে কতটা দিতে পারবো, সে আমি যেখান থেকে রিমেক করি না কেন আমি ফ্রেঞ্চ ছবি থেকে রিমেক করি অথবা তামিল ছবি থেকে রিমেক করি। দেখো আমরা নেটফ্লিক্স অ্যামাজনের দর্শক নিয়ে ভাবছি। এরকম প্রচুর মানুষ আছে যারা গ্রামে থাকে বা মফস্বলেথাকে তারা নেটফ্লিক্স অ্যামাজন এর ধারইধারে না , আমি আমার মায়ের কথা বলছি আমার মানি টু লিখছো দেখেনা আমার জন্য দেখেনা একটা ছবির ট্রেইলার টিভিতে ভালো লাগলো, গল্পটা ভালো লাগলো আমি দেখতে যাব তিনি কিন্তু জানেনা এই ছবিটা কি রিমেক না অরিজিনাল মুভি। আমায় দেখতে হবে কি ছবির রিমেক করছি যদি খুব action-packed ছবির রিমেক হয় হিরো উড়ছে গুন্ডা লাফাচ্ছে তাহলে আজকের দিনে চলবে না।
১২) যারা সিনেমা করতে চায়, কিভাবে তুমি তাদেরকে ইন্সপায়ার করবে। যারা লেখক তারা বিভিন্ন হাউসে যোগাযোগ করবে কিভাবে।
উঃ একটু অফিসে যোগাযোগ রাখতে হয়, অথবা তাদের মেইল আইডিতে গল্প পাঠাতে হয়, কনসেপ্টে মেইল করতে হয় যদি ভালো লাগে তাহলে সেখান থেকেই ডাকা হবে। কোন গল্প সেই হাউসগুলো পছন্দ করছে সেটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যাপার কোন সেট ভালো লাগলে নিশ্চয় ডাকবে।
ছবিটাতে নিজের মানসিকতা রিফ্লেক্ট করে সে যেই ছবি করুক না কেন। সিনেমার মেন শিকড় হল গল্প, গল্প যদি ভাল হয় এছাড়া ডিরেক্টরের কাজ হলো সবাই কী ঠিকঠাক ভাবে বোঝানো সে এডিটর হোক কিংবা টেকনিশিয়ান।