আসামের একটি মেয়ের ছোটবেলা থেকেই চোখে স্বপ্ন ছিল একজন ভালো গায়িকা হওয়ার। মাত্র তিন বছর বয়স থেকেই তার গান গাওয়ার জার্নি শুরু হয়। তিনি তার বাবার অফিসে এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের গান গাইতেন। তার গান সকলেই খুব পছন্দ করত। তিনি যতই বড় হতে থাকে তার গানের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়তে থাকে। প্রত্যেক বছর তার বাবার অফিসে, আসামের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন সংগীতানুষ্ঠানে তিনি আমন্ত্রণ পেতেন গান গাইবার জন্য। এর সাথে সাথে তিনি শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রাথমিক ধাপের তালিম নেয়া শুরু করেন। তিনি হলেন সংগীতশিল্পী জ্যোতি শর্মা।
জি বাংলা সারেগামাপা এর অডিশনের কথা তিনি জানতে পারেন তখন তিনি অডিশন দেন এবং কলকাতায় আসার ডাক পান। এরপর তিনি একের পর এক ধাপ পার হতে হতে জি বাংলা সারেগামাপা এর গ্র্যান্ড ফিনালেতে পৌঁছান।

জি বাংলা সারেগামাপাতে তার জার্নি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন “এই রিয়েলিটি শো আমার জীবন বদলে দিয়েছে। এই শ্যোতে আমি অনেক মূল্যবান সময় এবং মুহূর্ত পেয়েছি। এই ছয় মাস এখানে থেকে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। পারফরম্যান্স থেকে টেকনিক্যাল খুঁটিনাটি সমস্ত বিষয় গ্রুমার দের কাছ থেকে শিখতে পেরেছি। তারা অনেক সময় রাত দুটো পর্যন্ত ধৈর্য্য ধরে গান শুনে গানের ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরতেন এবং সেগুলো সুন্দর ভাবে আমাদেরকে বুঝিয়ে সংশোধন করতেন। এই শিক্ষাই আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনের পাথেয় হবে”।

জ্যোতি বর্তমানে শ্রী রথীজিৎ ভট্টাচার্য্যের অ্যাকাডেমিতে গান শেখেন। তার গুরু সম্পর্কে তিনি বলেন,”স্যার সকলকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে শেখান। প্রত্যেকেকেই তিনি নিজের সন্তানের চোখে দেখেন। তিনি সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয় গুলি ধরে ধরে শেখান। তার সাথে তার টেকনিক্যাল নলেজ আমাদেরকে অনেক সাহায্য করেছে নিজেদের ভুলগুলো সংশোধন করতে। আমার সঙ্গীতজীবনে তার অবদান অতুলনীয়”।
জ্যোতি রেওয়াজ করার সাথে সাথে পিয়ানো, ইউকিলিলি, হারমোনিয়াম বাজাতে পারেন।

কিছুদিন আগে তার এবং রক্তিম চৌধুরীর গাওয়া ডুয়েট মিউজিক ভিডিও ‘তুই শুধু তুই’ মুক্তি পেয়েছে। এই গানটি ইতিমধ্যে দর্শকদের মধ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছে। এই গানটিতে জ্যোতি এবং রক্তিম দুজনেই অভিনয় করেছেন। তাদের পরিণত অভিনয়ও যথেষ্ট প্রশংসিত হয়।’তুই শুধু তুই’ গানটি আপনারা ‘উত্তীয় প্রোডাকশন’ ইউটিউব চ্যানেল এ দেখতে এবং শুনতে পাবেন।এই মন ভালো করা গানটা আপনারা একবার অবশ্যই শুনবেন।
এছাড়াও জ্যোতি শর্মার বেশ কয়েকটি কাজ আসতে চলেছে।