রক্তিম চৌধুরী কি চিনতে পারছেন তো?? হ্যাঁ একদম ঠিক ধরেছেন জি বাংলা সারেগামাপার প্রতিযোগী তিনি সকলের মন জয় করে নেন ‘মন মাঝিরে’ ‘তেরি মিট্টি’ গান গেয়ে।
কিছুদিন আগেই তার কণ্ঠে গাওয়া এবং অভিনীত ‘সামিয়ানা’ আপনারা শুনেছেন এবং ভালোবাসা দিয়েছেন। ভবিষ্যতেও তিনি এরকম ভাবে গান গেয়ে সকলকে আনন্দ দেবেন এবং সকলের মনে জায়গা করে নেবেন।
ছোটবেলা থেকেই তিনি গানকে বড্ড ভালোবাসতেন। মাত্র তিন বছর বয়সে পিসি জয়ন্তী চৌধুরী দে এর কাছে গান শেখা শুরু করেন। যখন রক্তিম ৬ বছর বয়সে পা দেন তখন শ্রী অমরপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শেখা শুরু করেন। দীর্ঘ ১০ থেকে ১২ বছর তিনি তার কাছে শাস্ত্রীয় সংগীত শেখেন।
এরপর তিনি তাঁর গুরু শ্রী অমর প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় নির্দেশেই কমার্শিয়াল মিউজিক শেখার জন্য শ্রী রথীজিৎ ভট্টাচার্য্যের একাডেমিতে যোগাযোগ করেন। টেলিফোনিক রাউন্ডে প্রথমে সিলেকশন হয় তার এরপর অডিশন দেন স্বয়ং শ্রী রথীজিৎ ভট্টাচার্য্য এর সামনে এবং তিনি সিলেক্টও হন। এরপর থেকে এখনও তিনি শ্রী রথীজিৎ ভট্টাচার্য্যের একাডেমিতে গান শেখেন।

ছোটবেলা থেকেই রক্তিম এর সারেগামাপায় অংশগ্রহণ করার খুব ইচ্ছা ছিল। ২০১৬ সালে একটি বেসরকারী রেডিও চ্যানেলে ‘সিটি টলিউড সিজন থ্রি’ গানের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন তিনি, সেখানে বিচারক হিসেবে ছিলেন সুরকার শ্রী জয় সরকার। ২০১৮ সালে অপর একটি বেসরকারি রেডিও চ্যানেলে ‘গোল্ডেন ভয়েস’ প্রতিযোগিতায় রাজ্যস্তরে রানারআপ হন। এরপর ২০২০-২১ এ জি বাংলা সারেগামাপা প্রতিযোগিতায় তার মেন্টর এবং গুরু শ্রী রথীজিৎ ভট্টাচার্য্যের সম্মতি নিয়েই তিনি এই প্রতিযোগিতায় অডিশন দেন। প্রথমে তাঁর কল আসে এরপর ফিজিক্যালি অডিশন দিয়ে তিনি সিলেক্ট হন এবং প্রতিযোগিতার মূল পর্বে ধীরে ধীরে পৌঁছান।
তিনি বলেন এই সাড়ে ৮মাস ব্যাপী চলা ‘জি বাংলা সারেগামাপা’প্রতিযোগিতা থেকে তিনি অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন। যারা সেখানে বিচারক ছিলেন তারা প্রত্যেকেই খুবই হেল্প ফুল ছিলেন এবং প্রতিযোগীদের খুব সুন্দর ভাবে গাইড করতেন। এই প্রতিযোগিতায় গ্রুমার ছিলেন শ্রী রথীজিৎ ভট্টাচার্য্য। এই প্রতিযোগিতায় স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা থাকা সত্ত্বেও কিভাবে ভালোভাবে গান গাইবেন বা পারফর্ম করবেন সে বিষয়ে অনেক কিছু বুঝতে এবং শিখতে পেরেছেন।

তিনি জানান তিনি তার মেন্টর তার গুরু শ্রী রথীজিৎ ভট্টাচার্য্যের কাছ থেকে হিন্দি এবং উর্দু উচ্চারণ শেখেন এবং শিখছেন। তিনি বলেন ভাষার ব্যাকরণ একটু জানা প্রয়োজন কারণ একজন সঙ্গীত শিল্পী কে সব ধরনের ভাষায় কাজ করতে হতে পারে তাই ভাষার ব্যাকরণ টা জানা খুবই প্রয়োজন।
তার পরবর্তী প্রজেক্ট সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান তিনি নিজের ইন্ডিপেনডেন্ট সোলো মিউজিক অ্যালবাম নিয়ে কাজ করছেন তবে অতি মারির কারণে শ্যুটিং এবং রেকর্ডিং আটকে রয়েছে।এছাড়াও বেশ কয়েকটি প্রজেক্ট নিয়ে কথা চলছে তবে অতিমারির কারণে এখনও ফাইনাল হয়নি বলে তিনি জানান।