শেরশাহ এর সঙ্গে আরো একটি দেশভক্তিতে ভরপুর ছবি মুক্তি পেল “ভুজ : দ্য প্রাইড অফ ইন্ডিয়া”

স্বাধীনতা দিবসের আগে “শেরশাহ” ছবিটির সঙ্গে একইদিনে ১৩ ঐ আগস্ট আরেকটি দেশাত্মবোধক ছবি মুক্তি পেল “ভুজ : দ্য প্রাইড অফ ইন্ডিয়া”। অভিষেক দুধইয়া পরিচালিত এই দেশাত্মবোধক ছবিটি ১৯৭১ সালের ইন্দো-পাকিস্তান যুদ্ধের ওপর আধারিত। এটি হলো ভারতীয় বায়ুসেনার স্কোয়াডন লিডার বিজয় কার্নিকের , গুজরাটের মাপধারা গ্রামের বাসিন্দা ৩০০ জন গুজরাটি মহিলার সহায়তায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ের কাহিনী।


              ছবিটিতে ভুজ এয়ারবেস কমান্ডিং অফিসার অর্থাৎ, বায়ুসেনার স্কোয়াডন লিডার বিজয় কার্নিকের ভূমিকায় দেখা গেছে খ্যাতনামা অভিনেতা অজয় দেবগণ কে ।এধরণের পরাক্রমী চরিত্রে অবশ্য তাঁকে আগেও দেখা গেছে। আর এবারেও তাঁর অভিনয় যথাযথ।


          যুদ্ধের অন্যতম বীর ফাইটার পাইলট,আই.এ.এফ ভিকরাম সিং বাজ কে দেখানো হয়েছে। যাঁর অবদান এবং সাহসিকতা প্রথম থেকেই একই উদ্যমে দেখানো হয়েছে এই ছবিতে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমি ভারক ।


             ছবিটিতে বলিউডের প্রসিদ্ধ নৃত্যশিল্পী লাস্যময়ী নোরা ফাতেহি কে এবারে অন্যরকম একটি চরিত্র ভারতীয় গুপ্তচর হিনা রহমান এর ভূমিকায় দেখা গেছে।তবে তাঁর অভিনয়ে তেমন পরিপক্কতার স্বাক্ষর মেলেনি।হিনা রহমান হিন্দুস্তানের হয়ে পাকিস্তান থেকে গুপ্ত খবর ভারতীয় সেনাদের হাতে তুলে দিতেন।তাঁর এই মিশনের সঙ্গে হঠাৎই জড়িয়ে পড়া নয়। এর পেছনেও একটা বড় কারণ হিসেবে দেখানো হয় তাঁর দাদার ভারতের প্রতি বলীদানকে।দেশের স্বার্থে প্রয়োজনে খুন করতেও পিছুপা হননি হিনা রহমান।এরকম চরিত্রে আগেও দেখা গেছে সুপরিচিত ছবি “Raazi” তে আলিয়া ভাট কে।


               এবং এখানেই শেষ নয় ইন্দো-পাকিস্তান যুদ্ধে পুরুষ দের পাশাপাশি মহিলাদের একটা বড় অবদান তুলে ধরা হয়েছে।


           তাই ওপর দিকে আমরা আরেক বলিউড এর প্রসিদ্ধ অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা কে পেয়েছি গুজরাটের মহান নারী সুন্দরবেন এর চরিত্রে । তাঁর নেতৃত্বে ৩০০ গুজরাটি মহিলা পাক বোমার আঘাতে ধ্বংস হয়ে যাওয়া এয়ারবেস কে নুতন ভাবে তৈরি করে বিজয় কার্নিকের জয়কে নিশ্চিত করেছিলেন । এই ছবিটি তে মহিলাদের সেই অবদানের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে।


                অন্যদিকে আরেক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসাবে দেখা গেছে সঞ্জয় দত্ত কে রানছোড় ভাই পাগি এর চরিত্রে।যাঁর দেশের প্রতি অসম্ভব শ্রদ্ধা ও সমর্পণ এবং অসম্ভব পরাক্রম দেশকে গর্বিত করেছে।অপেরাশন হুর এর দায়িত্বে ছিলেন তিনি।সঞ্জয় দত্তের অভিনয়ে চরিত্রটি সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।

           এছাড়াও ছবিটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গেছে শরদ কেলকার , মহেশ সেট্ঠি,জয় প্যাটেল কে এবং অভিনেত্রী নভান পরিহার কে ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে।


                    স্কোয়াডন লিডার বিজয় কার্নিক ছাড়াও ছবিটিতে অন্যান্য বীরযোদ্ধা দেরও সমান ভাবে গুরুত্ব দিয়ে দেখানো হয়েছে।এটি একটি টিম ওয়ার্ক ।

            তবে ছবিটি গঠন গত দিক থেকে আরো বেশি পরিপাটি হওয়া উচিৎ ছিল। ছবিটিতে অনেক বীরদের কাহিনী তুলে ধরা হলেও ছবিটির মধ্যেকার ভাবধারা তেমন স্পষ্টভাবে হৃদয়ঙ্গম হতে পারেনি। সর্বপরি নারীদের ভূমিকাটিই এই ছবিটিতে বিশেষ ভাবে পরিলক্ষিত।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x